খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনের সমাবেশে বিএনপির নেতারা ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। জ্যেষ্ঠ নেতারা দলীয় দুই মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনকে ‘জনগণের মেয়র’ এবং ক্ষমতাসীন দলের বিজয়ী দুই মেয়রকে ‘মেশিনের মেয়র’ বলে আখ্যায়িত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘শতকরা ১৫ ভাগ ভোট পেয়ে কোনো দিন জনপ্রতিনিধি হওয়া যায় না, জনগণের মেয়র হওয়া যায় না। সিটি নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করেছি, এ দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। যতই যন্ত্র দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে চাও, এ দেশে মানুষ তোমাদের সেখানে পৌঁছাতে দেবে না।’
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মেশিন দিয়েও পৌঁছাতে পারে নাই। সব নির্বাচনে নিয়ম আছে যদি ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়ে তাহলে সেটাকে নির্বাচন বলে গণ্য করা যায় না।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের দুজন তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। তাঁরা (আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস) মেশিনের মেয়র হয়েছে। গায়ের জোরে নিজেরাই নিজেদের নির্বাচিত ঘোষণা করেছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সিটি নির্বাচনে যে দুজন মেয়র হয়েছেন তাঁরা মেশিনের মেয়র। তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন জনগণের মেয়র। তিনি দাবি করেন, সিটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি, তা নয়। তারা নীরবে প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকারের ভোট চুরির বিরুদ্ধে।
আজ শনিবার বেলা দুইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দী হওয়ার দুই বছর পূর্তিতে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশে সিটি নির্বাচনে দলের মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে নেতারা যখন সিটি নির্বাচনের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন তখন অন্য নেতারা ‘ভোট চোর’, ‘ভোট চোর’ বলে স্লোগান দেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকতউল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিনু, আইনজীবী ফজলুর রহমান,সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল কবির, শহীদউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
#প্রথম আলো